ডেস্ক নিউজ : নভেল করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সরকারের মাস্ক-পিপিই কেলেঙ্কারি ও রিজেন্ট হাসপাতালে অনিয়ম-দুর্নীতির ঘটনায় জবাব দিতে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) গেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ। আজ বুধবার সকালে তিনি রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে যান।
দুটি অভিযোগ অনুসন্ধানে বক্তব্য নেওয়ার জন্য গত ৬ আগস্ট অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদকে তলব করেছিল দুদক। তলবের চিঠিতে আবুল কালাম আজাদকে ১২ ও ১৩ আগস্ট হাজির হতে বলা হয়। সংস্থাটির পরিচালক (জনসংযোগ কর্মকর্তা) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য এনটিভি অনলাইনকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
সমালোচনার মুখে ডা. আবুল কালাম আজাদ গত ২১ জুলাই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পদ থেকে পদত্যাগপত্র জমা দেন। প্রক্রিয়া শেষে ২২ জুলাই তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়। পরদিন ২৩ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নতুন মহাপরিচালক (ডিজি) হিসেবে নিয়োগ পান ঢাকা মেডিকেল কলেজের সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর পর মাস্ক ও পিপিই নিয়ে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগের প্রতিবেদন আসতে থাকে গণমাধ্যমে। এর মধ্যেই দেশজুড়ে আলোচনায় আসে রিজেন্ট হাসপাতাল ও জেকেজি হেলথ কেয়ারের মতো প্রতিষ্ঠানের করোনা পরীক্ষা নিয়ে ভুয়া রিপোর্ট প্রদানের বিষয়টি।
একপর্যায়ে অনুমোদনহীন রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চুক্তির বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ডিজি ডা. আবুল কালাম আজাদকে কারণ দর্শানোর নোটিশও (শোকজ) দেওয়া হয়। এর জের ধরে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পর আবুল কালাম আজাদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।